কলাগাছ থেকে সুতা তৈরি করে বান্দরবানের গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ে বসবাসরত নারীরা দিনবদলের সোনালী দিনের স্বপ্ন দেখছেন।
জানা গেছে, কাঁচামালের সহজলভ্যতা ও স্বল্প পরিশ্রমে অধিক মুনাফা লাভের আশায় বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের আমতলী পাড়ার ৮৮ পরিবার এখন কলাগাছের বাঁকল থেকে ফাইবার বা সুতা তৈরিতে ব্যস্ত। এ প্রকল্পের আওতায় রাজবিলা ইউনিয়নের খামাদং পাড়ার ৪৪ পরিবারকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়াল্ডভিশন, উদ্দীপন, গ্রাউস উদ্দোক্তাদের মেশিন সরবরাহসহ কারিগরি সহায়তায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান, উৎপাদিত সুতা বা ফাইবার সরাসরি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে 'লাক' নামের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ক্রয় করে নিবে এবং বিক্রির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উৎপাদকদের একাউন্টে পাঠিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের চোখে সোনালী স্বপ্ন
শনিবার দুপুরে বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের আমতলী পাড়ায় এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
তিনি জানান, গ্রামীণ নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ প্রকল্পের কাঁচামালের সহজলভ্যতা হওয়ায় উদ্যোক্তারা সহজে তা সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে।
জেলা প্রশাসক জানান, পাইলটিং ভিত্তিতে এই প্রকল্পটি সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের আমতলী পাড়া ও রাজবিলা ইউনিয়নের খামাদং পাড়ায় পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সাফল্য ও উদ্যোক্তাদের চাহিদার ভিত্তিতে পরবর্তীতে বান্দরবানে ব্যাপক আকারে তা সম্প্রসারণ করা হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, একটি কলাগাছ থেকে কমপক্ষে ২০০ গ্রাম সুতা উৎপাদন করা যায়। সেই হিসেবে পাঁচটি কলাগাছ থেকে ১ কেজি সুতা উৎপাদন করা সম্ভব। যেসব পরিবার এই প্রকল্পে সরাসরি জড়িত থাকবে না তারাও উৎপাদনকারীর কাছে কলা গাছ বিক্রির মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
আরও পড়ুন: ‘কারেন্ট পোকায়’ ভেস্তে যেতে বসেছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন
উদ্বোধর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান, চেমী মৌজার হেডম্যান পুলু প্রু, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, লার্ক গ্লোবাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েদ মুস্তফা জাবেদ, গ্রাউস এর নির্বাহী পরিচালক চাইসিং মংসহ ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও আমতলী পাড়াবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।